আবদুল হামিদ,নাইক্ষ্যংছড়ি :: তামাকের বিকল্প ফসল হিসেবে হাইব্রিড জাতের ও দেশে উদ্ভাবিত উন্নত জাতের তুলা চাষকে বেছে নিচ্ছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কৃষকরা।
এই লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দরিদ্র বিমোচন প্রকল্প এর অর্থায়নে তামাক চাষ প্রতিস্থাপন উদ্বুদ্ধকরণ প্রশিক্ষণ কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী কম্বনিয়া এলাকায় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন শতাধিক কৃষক। পরে আশারতলী এলাকায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দারিদ্র বিমোচন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো: জসীম উদ্দিন (উপসচিব) বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত মোট চাহিদা ৫০ লক্ষ বেল তুলার মাত্র ৩ শতাংশ স্থানীয়ভাবে মেটানো হয়।
বাকি ৯৫ শতাংশই বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। তাই তুলা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করার পাশাপাশি তারা যাতে তাদের উৎপাদিত তুলার ন্যায্য মূল্য পায় সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে কৃষকরা জানান, তামাক চাষে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ, শারীরিক পরিশ্রম আর তামাক বিক্রি করে প্রকৃতমূল্য না পাওয়ায় এখন অনেকে তামাক চাষ ছেড়ে নেমে পড়েছেন তুলা চাষে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বান্দরবান প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: আলমগীর হোসেন মৃধা, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: ইনামুল হক, তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা নুম্যামং মার্মা।
সভায় মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কর্মশালায় তুলা চাষের সাথে সম্পৃক্ত ১২০জন কৃষকছাড়া স্থানীয়রা অংশ নেন।
Posted ৯:০২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta